সুষম রাসায়নিক সমীকরণ লেখার পদ্ধতি

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | | NCTB BOOK

সমীকরণ লেখার নিয়ম বা পদ্ধতি

  • সমীকরণ লেখার নিয়ম বা পদ্ধতি নিম্নরূপ
  • ১. প্রথমে চিহ্ন ও সংকেত এর সাহায্যে বিক্রিয়াশীল এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থ গুলিকে লেখা হয়। মৌল বা যৌগের মধ্যস্থ পরমাণুগুলি স্বাধীনভাবে থাকতে পারে না। সেই জন্য অনু রূপে ওই মৌল বা যৌগগুলির সংকেত লিখতে হয়। যেমন Cl2 N2 H2O  OH2SO4 CO2 ইত্যাদি।
    যেসব অনু এক পরমাণু দ্বারা গঠিত, তাদের অনুকে পরামানু দিয়ে প্রকাশ করা হয়। Na Cu C।
    কতগুলি অনু বিভিন্ন অবস্থায় একাধিক পরমাণু দ্বারা গঠিত হলেও ওই অনুগুলিকে এক পরমাণু রূপে প্রকাশ করা হয়। যেমন S, P ইত্যাদি।
  • ২. মাঝখানে তির চিহ্ন ( ) দিয়ে, বামদিকে বিক্রিয়াশীল পদার্থ গুলির সংকেত ও ডান দিকে বিক্রিয়াজাত পদার্থ গুলির সংকেত লেখা হয়।
  • ৩. বিক্রিয়াশিল ও বিক্রিয়াজাত পদার্থ একের বেশি হলে বিক্রিয়াশীল এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থের সংকেত গুলিকে + চিহ্ন দিয়ে যুক্ত করা হয়।
    যেমন একটি বিক্রিয়ায় বিক্রিয়াশীল পদার্থ PbS এবং H2O2 এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থ PbSO4 এবং H2O।
    এক্ষেত্রে PbS + H2O2 → PbSO4 + H2O লেখা হয়।
    বামদিকের +চিহ্নগুলি,কোন কোন অনুর মধ্যে বিক্রিয়া ঘটেছে তা প্রকাশ করে এবং ডান দিকের + চিহ্নগুলি বিক্রিয়ার ফলে কি কি পদার্থ উৎপন্ন হল তা প্রকাশ করে।
  • ৪। বিক্রিয়াশীল পদার্থের মোট ভর = বিক্রিয়াজাত পদার্থের মোট ভর হয়। অর্থাৎ বামদিকের পদার্থের মোট ভর = ডান দিকের পদার্থের মোট ভর হবে। কাজেই বাম দিকে ক্রিয়াশীল পদার্থগুলোর পরমাণুর ভর সংখ্যা = ডানদিকে বিক্রিয়াজাত পদার্থের পরমাণুর সংখ্যা হবে।
    সেজন্যপরমাণু গুলির সংখ্যার সমতা বিধানের জন্য বিক্রিয়ার আগের এবং বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন অনুগুলির সংখ্যা বাড়িয়ে উভয় পাশের পরমাণুর সংখ্যা সমান করতে হয়। এই অবস্থায় সমীকরণটি সমতা যুক্ত সমীকরণ হয়।
  • ৫ এইভাবে উভয় পাশে অনুর সংখ্যা স্থির করার পর তির চিহ্নটি ( → ) উঠিয়ে দিয়ে সেই স্থানে = চিহ্ন বসিয়ে বিক্রিয়ার আগে বিক্রিয়াশীল অনুগুলির মোট পরমাণুর সংখ্যার সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন বিক্রিয়াজাত অনুগুলির মোট পরমাণু সংখ্যা সমতা চিহ্নিত করা হয়।
    যেমন PbS + 4H2O2 → PbSO4 + 4H2O
Content added By
Promotion